হলুদের অনুষ্ঠানে

আমার বালিকা বন্ধুর হলুদের অনুষ্ঠানে ডিজে সঙ্গীতের নৃত্যের তালে তালে এক রূপসী বালিকার রূপ দেখিতেছিলাম। তাহার রূপে মোহিত হইয়া কখন যে আমি আধা মরা হইয়া গিয়াছি তাহা বুঝিতে আমার খানিকটা সময়ের দরকার হইয়াছিল।
অতঃপর বিয়ের দিন হলুদের দিনের সেই রূপসী বালিকার নাম সংগ্রহ করিয়া বালিকা বন্ধুর নিকট যাইয়া কহিলাম- “ওহে বন্ধু! এই ত্রিভুবনে আমি বোধকরি আর একাকী রহিতে পারিলাম নারে! তুমি আমার ঝি***ক বিবির কিছু কথা আমাকে সুধাও, যাহাতে করিয়া আমি আমার অন্তর আত্মার তৃষ্ণা মিটাইতে পারি।”
বন্ধু আমার মোনালিসা ভঙ্গীতে অদ্ভুত এক হাসি দিয়া কহিল-

“ওহে বাছা!

ও আমার ভাতিজি আর সেই সুত্রে তুই চাচা”

পূর্বাভাস ছাড়া সুনামি বহিয়া তছনছ করিয়া দিলো মোরে,

এই কথা শুনিবার তরেই কি আমি জিজ্ঞাসিলাম ওরে?

পুনরায় আমি কহিলাম তারে-“ওহে আমার সাথী!

আজ হইতে তোমার বর চাচা আর তুমি আমার চাচী।”

আমার নিষ্পাপ মুখপানে চাহিয়া কহিল বন্ধু-“ওরে!

তিন বছর যাবত করিতেছে প্রেম শক্ত ভালবাসার জোরে।”

অন্তরে নতুন আশা রাখিয়া কহিলাম বন্ধুকে মোর,

“যে করেই হোক চাহি তাহারে, লাগিলে খাটাইবো জোর।”

কিঞ্চিৎ রাগিয়া কহিল আমায়- “শুনরে হতভাগা।

ভুল সংযোগে দিয়েছিস কল, সঠিক জায়গায় লাগা”

রাগিয়া গিয়া কহিলাম আমি-“চুপ থাক অভাগী!

ঘুষি দিয়া তোর দাঁত ফেলিতাম না হইলে আজ তোর শাদী।”
বিঃদ্রঃ লেখকের অনুমতি ব্যতিত এই পোস্ট কপি পেস্ট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
পিছনের পাতাNewer Post পরের পাতাOlder Post Home