প্রিয়তমা সমগ্র (১-২৫)

১।
প্রিয়তমা,
পার্কের বেঞ্চিতে বসে আমার গলা ধরে কাঁদতে চেয়েছিলে,
হায়! এই নিষ্ঠুর সমাজ আমাদের অসভ্যতাটাই শুধু দেখলো,
কিন্তু মনের কষ্টে ঝড়ানো তোমার কান্নাগুলো দেখল না।
 

২।
প্রিয়তমা,
আমি তোমার কাছে ভালবাসা চেয়েছিলাম।
তুমি বাসায় নিয়ে চাবি ধরিয়ে দিয়ে বললে,
"ভাড়া মাসে ১৫ হাজার টাকা। গ্যাস, কারেন্ট বিল আলাদা।"
 

৩।
প্রিয়তমা,
তুমি ঘরকুনো হও,
নয়তো মহল্লাটা পাগলাগারদ হয়ে যাবে।


৪।
প্রিয়তমা,
যে ছেলে তোমার প্রেমের জলে হাবুডুবু খেয়েও বেঁচে আছে,
তাকে বুড়িগঙ্গায় চুবানোর ভয় দেখিয়ো না।
 

৫।
প্রিয়তমা,
আমার কাছে তোমার হাজার রাতের পাওনা বাকি।
আর দূরে না থেকে চল, তোমার ঋণ শোধ করি ।
 

৬।
প্রিয়তমা,
আমি তোমার অন্ধকার ঘরে মোমবাতি হতে চেয়েছিলাম,
তুমি আমার অবিরত গলে যাওয়াই দেখলে,
তোমার জন্য জ্বলে যাওয়া দেখলে না
 

৭।
প্রিয়তমা,
আমার উপর যদি প্রিয় জিনিষটি কোরবানি করার আদেশ আসতো,
তবে এতদিনে তুমি ইতিহাস হয়ে যেতে।
 

৮।
প্রিয়তমা,
তোমার একটু অবসর থাকলে আজ আসমানে উঠে যেয়ো।
জানোইতো,
তুমি আজ না উঠলে কাল ঈদ হবে না।
 

৯।
প্রিয়তমা,
বাঁশ বাগানের ফাক গলে চাঁদ দেখবো বলে বাঁশ বাগান বানালাম।
কিন্তু হায়!
ক্রিকেট পাগল বাঙালী সব গুলো আচাছা বাঁশ ইন্ডিয়াকে দিয়ে দিলো।
 

১০।
প্রিয়তমা,
চলো! নখের আঁচড়ে আঁচড়ে ভালোবাসার দাগ ফেলি।
জানোই তো, দাগ থেকে যদি দারুণ কিছু হয়, তবেতো দাগই ভালো।
 

১১।
প্রিয়তমা,
তোমার জন্য ভালোবাসা গুলোকে বৃষ্টি বানিয়ে পাঠিয়ে দিলাম।
তুমি শুধু তোমার উঠোনে জলাবদ্ধতাই দেখলে,
ভালোবাসায় ভিজে যাওয়াটা দেখলে না।
 

১২।
প্রিয়তমা,
তোমার জন্য এক ময়দান হেয়ার ব্যান্ড দিলাম,
জানোই তো,
তোমার চুল বাঁধা দেখতে স্বর্গের দ্বারেও অপেক্ষা করতে রাজী আছি।
 

১৩।
প্রিয়তমা,
ভালোবাসা আর ভাল বাসার মাঝে পার্থক্য যতদিনে বুঝলাম,
ততোদিনে তোমার মেয়েটা হাঁটতে শিখে গেছে।
 

১৪।
প্রিয়তমা!
জন্মের পূর্বে ঈশ্বরের কাছে আমাকে জড়িয়ে ধরে সারাজীবন বাঁচার আর্জি রেখেছিলে,
কিন্তু হায়! ঈশ্বর আমাকে তোমার কোলবালিশ বানিয়ে পাঠিয়ে দিলো।
 

১৫।
প্রিয়তমা,
শুনেছি হৃদয় থেকে হৃদয়ে ঘুড়তে ঘুড়তে তোমার হৃদয় আজ ক্লান্ত,
একটা বিকেল সময় হবে?
চা খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে দেখে যেতে ফেলে যাওয়া পদচিহ্নের গভীরতা কতটুকু হয়!
 

১৬।
প্রিয়তমা,
তুমি জল হও
আমি তোমাতে ডুবে মরি।
 

১৭।
প্রিয়তমা,
সত্যি বলছি, তুমি ফেসবুকের ফেক আইডির ছবি গুলোর মতোই অসম্ভব সুন্দর।
 

১৮।
প্রিয়তমা,
তোমার একটু ছোঁয়া পেতে, কোক খাওয়া শেষে তোমার বোতলের স্ট্র টাও চুরি করে নিয়ে আসি।
 

১৯।
প্রিয়তমা,
যেইদিন তুমি বললে, আমার সুখেই তুমি সুখী।
সেদিন থেকেই অন্যের মাঝে সুখ খুঁজে তোমাকে সুখী করতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু হায়!
সুখের দাম তুমি গালিতে পরিশোধ করলে।
 

২০।
প্রিয়তমা,
তুমি আমার সম্বল হলে, আমি তোমার কম্বল হব।
 

২১।
বালিকা!
ভালোবাসার দাবি নিয়ে এক গুচ্ছ গোলাপ দিলাম,
কিন্তু এ কী হায়!
তুমি ফুল বিক্রেতা ভেবে ১০ টাকা দিয়ে চলে গেলে!!!
 

২২।
প্রিয়তমা,
যেই দিন থেকে তোমাকে নিয়ে কল্পনা শুরু করি সেই দিনই তুমি যদি আমার হয়ে যেতে, তাহলে আমাদের মেয়েটা আজ চকলেট খাবার বায়না ধরতো!
 

২৩।
বালিকা! 
এইতো আর কয়টা দিন। সিম্ফনি DSLR বানানো শুরু করলে আমিও ফটোগ্রাফার হয়ে যাবো!
 

২৪।
বালিকা!
যদি বলি ভালোবাসি তোমায়,
তুমি কি বিশ্বাস করবে?


২৫। 
প্রিয়তমা,
হ্যালোউইন পার্টিতে সবাই ভূত সাজছে,
তুমিও তাড়াতাড়ি মেকাপ ধুয়ে চলে আসো।