পাশে বসেই যে মেয়েরা তার উপর যথেষ্ঠ বিরক্ত হচ্ছে তা ঠিক ঠিক বুঝতে পাড়ছেন জলিল সাহেব। কিন্তু ওদিকে ওনার বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই, উপরন্তু এমন একটা ভাব নিয়ে দেখছেন যেন টিভি পর্দায় খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেখাচ্ছে।
অবশেষে মা আর বড় মেয়ের খোঁচানীতে ছোট মেয়েটা বলেই ফেললো, "বাবা! একটু স্টার প্লাস দাও, ওখানে ভাল একটা নাটক হচ্ছে"
কথাটা সম্পূর্ণ শেষও করতে পারলো না রূম্পা, তার আগেই বিকট স্বরে জলিল সাহেবের এক ধমকে তিন মা মেয়ে উঠে পালালো। এতো খারাপভাবে ছোট মেয়েটাকে এভাবে বকে নিজের কাছেই খুব খারাপ লাগছে তার। কিন্তু কি করার! নিজে একজন সচেতন বাবা হয়ে মেয়েদের এমন বস্তা পঁচা নাটক কিভাবে দেখতে দিতে পারেন? যেখানে প্রতিটি মিনিটে শেখানো হয় নোংরামি, বিচ্ছেদের মন্ত্র আর কুটিলতা।
বাইরে বৃষ্টি অনেকটাই কমেছে। তিনদিন হলো কাজের মেয়েটা মানিব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে পালিয়েছে। বিবেক করে যে তার মানিব্যাগটা সাথে নিয়ে যায়নি সে জন্যে তিনি মনেমনে মেয়েটাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দেন। চা খাওয়ার তেষ্টা পেয়েছে, ছোটটাকে ডেকে চা করে দিতে বললেই করে দিবে। এইফাকে দু একটা কথা বলে মেয়েটার রাগটাও হালকা করে ফেলা যাবে। হঠাৎ কি মনে হলো! ছাতাটা মাথায় ফুটিয়ে স্যান্ডাল পায়ে বের হয়ে গেলেন ফারুকের দোকানের উদ্দেশ্যে চা খেতে। আজকাল হাটুর বয়সী ছোকরা গুলোর জ্বালায় দোকানে বসে চা খাওয়াও দায়। মুরুব্বীদের দেখলে এদের বিড়ি ফুঁকার গতি যেন দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবুও সন্ধ্যে বেলা ফারুকের হাতের চা না খেলেই নয়। বাসা থেকে মিনিট পাঁচেকের হাঁটার পথ। রাস্তার ওপারেই দোকান। ইদানীং জায়গাটা জলিল সাহেবের প্রিয় জায়গায় পরিণত হয়েছে, এখানে চা খেতে খেতে ফারুকের সাথে গল্প জুড়ে দেয়া যায়। বাধ্যগত ছাত্রের মতো নিরবে রাজনৈতিক, সামাজিক আলোচনা আগ্রহভরা দৃষ্টিতে শুনে সে। এমন শ্রোতা পাওয়া দূরহ ব্যাপার।
বাস্তব জীবনে তিনি গম্ভীর প্রকৃতির হলেও ফারুক ছেলেটার সাথে তিনি অনেক কথা বলেন। তবুও আজ কোন কথা বলছেন না, ফারুক একবার চা দিতে দিতে কি যেন বলল সেদিকে খেয়াল নেই জলিল সাহেবের।
সন্ধ্যার ঘটনাটা এখনো ঝেড়ে ফেলতে পারেননি মন থেকে, কেমন যেন একটু অপরাধী অপরাধী মনে হচ্ছে নিজেকে। মেয়েটাই বা কি করবে? সবে মাত্র মেট্রিক পরিক্ষা শেষ করলো, তিন মাসের জন্য একটু বিশ্রাম। এখন একটু আধটু সিরিয়াল দেখলে কি খুব অন্যায় হয়ে যেত? নাহ্! এভাবে না ধমকালেই পারতেন।
এসব চিন্তা করতে করতে সময় গড়িয়ে ১০টা। বাসা ফেরা দরকার, ইদানীং আবার অনিদ্রা রোগে ধরেছে। ১২টার মধ্যে বিছানায় যেতে না পারলে সারারাতেও দু পাতা এক করা যাবে না।
এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে হাঁটছেন। বড় রাস্তা পার হতে যাবেন এমন সময় হঠাৎ পিছন থেকে বিকট শব্দে ব্রেক চাপার আওয়াজ! পিছনে ঘুরে তাকানোর আগেই ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে গেলেন। পড়ার আগে ঠিক ঠাহর করতে পারলেন না সেটা কি ছিল, বাস নাকি ট্রাক? তার আগেই অজ্ঞান।
একবারের জন্য চোখ খুলতে পারলেন জলিল সাহেব। শরীরে একদমই শক্তি পাচ্ছেন না, তার এই বিশাল দেহটা চোখ মেলে ধরার মত সামান্য শক্তিটুকুও যোগান দিতে পারছে না। এই অল্পসময়ে তিনি বুঝতে পারলেন তার মাথা থেকে রক্ত চোখ বেয়ে পড়ছে, তিনি এখন এম্বুলেন্সে, ছোট মেয়েটা অঝরে কেঁদে যাচ্ছে, আর তার স্ত্রী চোখ বন্ধ করে বড় মেয়ের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমোচ্ছে, হয়তো উনার মতো রাবেয়াও সেন্সলেস হয়ে আছে। বড় মেয়েটা কি করছিলো সেটা বোঝার আগেই অসহ্য ব্যথায় আবার সেন্সলেস হয়ে গেলেন জলিল সাহেব।
কতক্ষণ হলো অজ্ঞান আছেন সেই হিসেব কষতে পারলেন না। মাঝে দিয়ে হয়তো একবার চোখ খুলেছিলেন। আবছা আবছা মনে করতে পারছেন হাসপাতালে অনেক হুরোহুরি চলছিল, চোখ বন্ধ থাকলেও বুঝতে পারছিলেন ডাক্তাররা অনেক ব্যস্ত ছিলেন তাকে নিয়ে। এখন অবশ্য শরীরটা বেশ ফুরফুরে লাগছে। ব্যাথাটেথা একদমই নেই। এখন হয়তো তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এম্বুলেন্সে ক্লান্ত হয়ে শুয়েও ঠিক ঠিক বুঝতে পারছেন সবাই নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। পাশের সিটটাতেই বসে আছে তার ছোট শালা আর মামাতো ভাই। ছোট শালাটাকে ঠিক সহ্য হয় না তার, বড়লোকের মেয়েকে বিয়ে করে ঘর জামাই হয়েছিল বছর বিশেক আগে। একি শহরে থাকা অথচ আজ প্রায় পনের বছর পর দেখা হলো। শালাকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে, "তা শালা বাবু! এতো বছর পর বোন দুলাভাইকে মনে পড়লো?"।
উফফ্! আর চিন্তা করতে ভালো লাগছে না, দুচোখ জুড়ে রাজ্যের ঘুম। আবার একটু ঘুমানো যাক, শরীরটায় একটু বল ফিরে পেলে তখন না হয় দু চারটা কথা বলা যাবে।
একটা গভীর ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক বেশী হালকা লাগছে। দুচোখ খুলেই বিশাল আকাশ দেখা যাচ্ছে। আহ্! কতদিন পর আকাশ দেখা, জলিল সাহেবের চিন্তায় তার সেই ছেলেবেলা। গ্রামের মাঠে কাবাডি খেলে ক্লান্ত হয়ে সবুজ ঘাসে শুয়ে আকাশ দেখা আর হয় না। পাখিরা উড়ে উড়ে নীড়ে ফিরছে। ওরা ফিরুক! ওদের সময়ের অভাব, জলিল সাহেবের হাতে অনেক সময় আছে। আজ নাহয় আরেকটু সময় করে আকাশ দেখা যাক।
হঠাৎ পানির ঝাপটায় ভ্রম কেটে বাস্তবে ফিরে এলেন। এই বুড়ো লোকটিকে কেমন যেন পরিচিত মনে হচ্ছে, কোথায় যেন দেখেছেন। কিন্তু তাকে এভাবে পানি ছিটালেন কোন সাহসে? বুড়ো কি বাতাসে হয়েছে? সামান্যতম ভদ্রতার বালাই নেই। ওইতো তার শ্যালককে দেখা যাচ্ছে। ওকে ডেকে বুড়োটাকে শায়েস্তা করতে বলে দেয়া দরকার।
চারপাশটায় চোখ বুলিয়ে কেমন যেন অজানা তবুও পরিচিত লাগছে। এই পরিবেশটা ঠিক ভালো ঠেকছে না, চারপাশ কেমন যেন চাদর দিয়ে ঘেরা। মনে হচ্ছে ছাদ ছাড়া তাবুর মাঝে শুয়ে আছেন।
আশপাশটা ভাল মত খেয়াল করেই জলিল সাহেব যা বোঝার বুঝে গেলেন, সমস্ত বিষয়টাই
এখন তার কাছে পরিষ্কার, কেমন যেন দুনিয়াটা ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ আগেও যাকে সম্মানের সাথে নাম ধরে ডাকা হতো এখন তাকে ডাকা হচ্ছে লাশ নামে। তার চারপাশের সব আয়োজন তাহলে তাকে গোসল করানোর! তবে কি তিনি মারা গেছেন? জীবন এতো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল? তারতো অনেক কাজ বাকি, অবসরের পর নাতি-নাতনী নিয়ে দিন পার করার স্বপ্ন ছিল, ছোট মেয়েটাকে ভাল জায়গায় বিয়ে দিতে হবে। রাবেয়াকে কক্সবাজার ঘুরিয়ে আনার কথা দিয়েছিলেন। সবই কি শেষ? সময়কে কি একটু পিছনে নিয়ে ভুল গুলো শোধরানো যাবে না? কথা গুলো কি পালন করার আর সুযোগ থাকছে না?
এইমুহূর্তে তার অভিব্যক্তি কেমন হওয়া উচিত ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পাড়ছেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলেন হা-হুতাশ করে লাভ নেই, বরঞ্চ পুরো বিষয়টা এখন উপভোগ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বড়ই পাতা দেয়া কুসুম গরম পানিতে যত্ন সহকারে তাকে গোসল করানো হচ্ছে। আস্তে আস্তে করে রক্তের দাগ গুলো মুছে ফেলা হচ্ছে, গরমেও হালকা গরম পানিতে গোসল করতে বেশ ভালোই লাগছে।
এখন চাদরের চার দেয়ালের বাইরের পরিবেশটা দেখতে খুব ইচ্ছে করছে। নিশ্চয়ই অনেক লোক এসেছে তাকে শেষ বারের মতো দেখতে। আচ্ছা! তার মৃত্যুর সংবাদ শুনে রাবেয়া কি করেছিল? নিশ্চয়ই অনেক কেঁদেছিল! ৩০ বছরের সংসার। অথচ কিভাবে কিভাবে যেন দিন গুলো কেটে গেল। মনে হচ্ছে এইতো সেদিনইতো ওর সাথে বাসর রাতে কথা হল। এখনো স্পষ্ট মনে আছে সেই রাতের কথা। প্রথম যখন ওর হাত ধরলাম ওর সে কি লজ্জা। নিষ্পাপ সেই মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম অনেকক্ষন। মনে হচ্ছিল এই মুখখানা দেখতেই আমার জন্ম, এই মুখপানে তাকিয়ে সারাজীবন পার করে দিতে পারবো। আচ্ছা! আজ কতো তারিখ? তারিখটা জানতে পারলে ভালো হতো, বের করা যেত এক্সিডেন্ট করেছিলেন কবে আর মারা গিয়েছেন কবে। যদিও অপ্রয়োজনীয় তারপরো জানতে ইচ্ছে করছে। এই মুহূর্তে যদি ফাঁসীর আসামীর মতো শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হতো তাহলে তিনি নিশ্চয়ই সময়ের হিসেবটাই জানতে চাইতেন, এই জগতে সম্ভবত মুর্দার শেষ ইচ্ছে জানতে চাওয়া হয় না।
আমার গোসল করানো শেষ। চাদর খুলে ফেলা হয়েছে। আমি এখন সবাইকে দেখতে পারছি। সবদিকে কান্নার রোল। আমাকে ঘিরে সবার সে কী ভীড়। সবাই এসে আমাকে দেখে যাচ্ছে। কেমন যেন লজ্জা করছে। লাশ হওয়ার দুটো সুবিধা আছে। প্রথমত চোখ বন্ধ থাকলেও সবাইকে দেখা যায় আর দ্বিতীয়ত আমি যাই করি তা অন্য কেউ দেখতে পারে না।
খুব গরম লাগছে, একটা ফ্যানের ব্যবস্থা করা গেলে মন্দ হত না।
মনটা ভীষণ খারাপ লাগছে! মেয়ে দুটো কিভাবে হাউমাউ করে কাঁদছে। জীবদ্দশায় বড় মেয়েটার একটা গতি করতে পারলেও ছোট মেয়েটার কিছু করা গেল না। অনেক ভালোবাসি মেয়েটাকে। অথচ শেষ সময়ে কিনা ধমক মেরেই বিদায় নিতে হল? মরার পরেও আক্ষেপ নিয়েই কবরে যেতে হবে। ভাবতেই খারাপ লাগছে, ইচ্ছে করছে মেয়ের কানের কাছে যেয়ে বলি, "মা রে! পরকালে যেন তুই আমার মা হয়ে জন্মাস।"
রাবেয়াকে আনা হয়েছে। এ কী অবস্থা করেছে ও! কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই ওর মুখটা কেমন যেন চুপসে আছে, মনে হচ্ছে একরাতেই ওর বয়স ২০ বছর বেড়ে গেছে। বড্ড মায়া লাগছে, ওই মলিন মুখটার দিকে ফিরে তাকালে মনে হচ্ছে কলিজাটা ফেটে যাবে।
মাওলানা সাহেব ওকে আমাকে ক্ষমা করে দিতে অনুরোধ করছেন। কিন্তু আমি কি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য? ওকে যৌবনে কথা দিয়েছিলাম সারা জীবন বুকে আগলে রাখার। কথা দিয়েছিলাম ওকে কষ্ট দিবো না, ছায়া হয়ে থাকার অঙ্গীকার করে ছিলাম। কিন্তু কোথায় কী?
বিয়ের পর অভাবের সংসারে কখনই কষ্ট প্রকাশ করে নি, নিজেই আগলে রেখেছিল মেয়েদুটোকে, নিজের সব স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে আড়ালে কেঁদেছে, আর এক চিলতে সুখের আশায় মাথা রেখেছে আমার বুকে। আমি ওকে সুখী করতে পারি নি। তবে আমি কিভাবে ক্ষমার যোগ্য হই মাওলানা সাহেব? আমাকে ক্ষমা করো না রাবেয়া, আমার কাছে তোমার অনেক পাওনা। তোমার জীবন বেঁচে আমার সংসার গড়া, আমি সেই দায় শোধ করতে পারলাম না। আমাকে ক্ষমা করো না, আমি ক্ষমার যোগ্য নই। জানি এদেখা শেষ দেখা না, শেষ বিচারের দিনে তুমি তোমার পাওনা বুঝে নিয়ো, তোমাকে আবার দেখার আশায় বিদায় প্রাণ প্রিয়া।
একটু আগে আমার জানাজা শেষ হলো, এখন আমাকে কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বলতে লজ্জা করছে তবুও বলি, "এখন আমাকে জমিদার জমিদার মনে হচ্ছে, আমি পালকিতে চড়ে যাচ্ছি আর পাহাড়াদাররা আসছে পেছন পেছন।"
এইতো আমার কবর। কবরটা দেখতেই কেমন যেন রাক্ষসী মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে ক্ষুধার্ত এই কবর আমার জন্য বিশাল হা করে আছে। রাখা মাত্রই খেয়ে ফেলবে।
এখন আমি মাটিতে শুয়ে আছি। বাঁশ আর চাটাই দিয়ে আমাকে আড়াল করে ফেলা হচ্ছে। মাটি ফেলার ঝুপুরঝাপুর আওয়াজ পাচ্ছি। চারপাশ ঘন কালো অন্ধকার। কী ভয়ানক অন্ধকার, রংহীন এই অন্ধকারকে কখনো এতো ভয়ংকর লাগে নি আগে। আস্তে আস্তে সবাই চলে যাচ্ছে, সবার হেঁটে যাওয়ার পায়ের শব্দ পাচ্ছি, চিৎকার করে ডাকতে ইচ্ছে করছে, "যেয়ো না তোমরা! একটু দাঁড়াও, আমাকেও নিয়ে চলো।"
আচ্ছা এখনকি আমার বিচার করা হবে? আমাকে কি শাস্তি দেয়া হবে? ছোটবেলায় মক্তবের হুজুর বলেছিল মরার পর তিনটি প্রশ্ন করা হবে। কি কি যেন প্রশ্ন ছিল? মার-রব্বুকা?, মার'র......র কি কি যেন প্রশ্ন ছিলো, মনে পড়ছে না।
মুর্দাদের মনে এতো প্রশ্ন আসে কেন? যেহেতু উত্তর পাওয়ার কোন উপায় নেই তবে এতো প্রশ্ন মনে আসাটাও অস্বস্তিকর!
কেউ আসছে, স্পষ্ট পায়ের শব্দ পাচ্ছি। কিন্তু মাটি এভাবে কাঁপছে কেন? সে কি! দুই পাশের মাটি এতো চাপছে কেন? আমার পায়ের ওপর কি ভর করছে? উফফ্! কী দুঃসহ যন্ত্রণা।
হঠাৎ একটা কণ্ঠ, "আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর"।