গত শুক্রবার বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম মতিঝিল এজিবি কলোনিতে।
রাস্তায় ফুটপাত ধরে দুই বন্ধু হাঁটছিলাম। রাস্তার কয়েকটা ল্যাম্পপোস্টের লাইট তখন নেভানো ছিল। এমন অন্ধকার এবং ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হঠাৎ করেই হর্ণ দিতে দিতে একটি বাইক দ্রুত গতিতে ছুটে চলে গেল। এর তিন চার সেকেন্ডের ভিতর আরো একটি বাইক দ্রুত চলে গেল। এতো উগ্র টান দেখে বন্ধুকে বলছিলাম, "এদের বেশি দিন বাঁচার কোন ইচ্ছেই নেই"। পরবর্তী ২/৩ সেকেন্ড পর আরো ২টি বাইক হর্ণ দিতে দিতে ছুটে গেল।
আমি নিশ্চিত সেই রাস্তায় যদি কোন স্পিড ব্রেকার থাকতো তবে তাদের বাবারও সাধ্য ছিল না গতিরোধ করার। ঘটনাটা এই পর্যন্ত ঠিক ঠাকই ছিল। সমস্যা বাধলো পরের বাইকটি নিয়ে। অন্যান্য বাইকের তুলনায় এই বাইকটা একটু পিছনে ছিল। প্রথম ৪ টা বাইক ৪/৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে গেলেও শেষের বাইকটি একটু বেশিই পিছনে পড়ে গিয়েছিল। সেই বাইকটি (হর্ণ ছিল না) শেষের বাইকটি থেকেও ৭/৮ সেকেন্ডের দূরত্বে ছিল। এরই মাঝে রাস্তা পার হচ্ছিল এজিবি কলোনিরই দুইজন মহিলা। সব বাইক চলে গিয়েছে ভেবে আইল্যান্ড থেকে যখনই এক পা মাটিতে ফেলে তখনই বাইকটি এসে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে যায়। আমরা যেতে যেতেই আরো মানুষ যেয়ে উনাকে উদ্ধার করে একটা রিক্সায় তুলে হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়।
আজ যখন পত্রিকায় পড়লাম মহিলাটি মারা গিয়েছে তখন খুবই খারাপ লাগলো। বেশি খারাপ লাগছিল তার বাইশ মাস বয়সী বাচ্চাটার জন্য।
১৯ বছরের একজন টগবগে তরুণ নিজের পারদর্শিতা জাহির করতে যেয়ে নিয়ে গেল একটা প্রাণ। দুনিয়ার যেকোন কিছুর বিনিময়েও প্রাণের কোন প্রতিদান প্রদান করা যায় না। কিছুদিন আগেও একজন প্রাক্তন এমপির ভাতিজা আহত করে ৪ জন রিক্সা আরোহী কে। এইসব অপরিপক্ব ছেলেগুলোর যত না দোষ, তার চাইতে বেশি দোষ তাদের বাবা-মার। তারা সন্তানের জেদের কাছে হেরে যেয়ে বিলাসিতার জন্য বাইক/গাড়ি কিনে দেয়। কিন্তু তারা এটা ভাবেন না যে তাদের এই হার কারো জীবন হারানোর কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসব ঘটনায় যদি আপনি ক্ষমতাবান হোন তাহলে বিচার পাবেন। নয়তো, পত্রিকার এক কোণায় ছোট্ট সংবাদ হওয়া ছাড়া আর কিছুই পাবেন না।
পরিশেষে একটাই কথা-
ভাল থাকুন সবাই, সাবধানে থাকুন।
রাস্তায় ফুটপাত ধরে দুই বন্ধু হাঁটছিলাম। রাস্তার কয়েকটা ল্যাম্পপোস্টের লাইট তখন নেভানো ছিল। এমন অন্ধকার এবং ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে হঠাৎ করেই হর্ণ দিতে দিতে একটি বাইক দ্রুত গতিতে ছুটে চলে গেল। এর তিন চার সেকেন্ডের ভিতর আরো একটি বাইক দ্রুত চলে গেল। এতো উগ্র টান দেখে বন্ধুকে বলছিলাম, "এদের বেশি দিন বাঁচার কোন ইচ্ছেই নেই"। পরবর্তী ২/৩ সেকেন্ড পর আরো ২টি বাইক হর্ণ দিতে দিতে ছুটে গেল।
আমি নিশ্চিত সেই রাস্তায় যদি কোন স্পিড ব্রেকার থাকতো তবে তাদের বাবারও সাধ্য ছিল না গতিরোধ করার। ঘটনাটা এই পর্যন্ত ঠিক ঠাকই ছিল। সমস্যা বাধলো পরের বাইকটি নিয়ে। অন্যান্য বাইকের তুলনায় এই বাইকটা একটু পিছনে ছিল। প্রথম ৪ টা বাইক ৪/৫ সেকেন্ডের ব্যবধানে গেলেও শেষের বাইকটি একটু বেশিই পিছনে পড়ে গিয়েছিল। সেই বাইকটি (হর্ণ ছিল না) শেষের বাইকটি থেকেও ৭/৮ সেকেন্ডের দূরত্বে ছিল। এরই মাঝে রাস্তা পার হচ্ছিল এজিবি কলোনিরই দুইজন মহিলা। সব বাইক চলে গিয়েছে ভেবে আইল্যান্ড থেকে যখনই এক পা মাটিতে ফেলে তখনই বাইকটি এসে সজোরে ধাক্কা মেরে ফেলে যায়। আমরা যেতে যেতেই আরো মানুষ যেয়ে উনাকে উদ্ধার করে একটা রিক্সায় তুলে হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়।
আজ যখন পত্রিকায় পড়লাম মহিলাটি মারা গিয়েছে তখন খুবই খারাপ লাগলো। বেশি খারাপ লাগছিল তার বাইশ মাস বয়সী বাচ্চাটার জন্য।
১৯ বছরের একজন টগবগে তরুণ নিজের পারদর্শিতা জাহির করতে যেয়ে নিয়ে গেল একটা প্রাণ। দুনিয়ার যেকোন কিছুর বিনিময়েও প্রাণের কোন প্রতিদান প্রদান করা যায় না। কিছুদিন আগেও একজন প্রাক্তন এমপির ভাতিজা আহত করে ৪ জন রিক্সা আরোহী কে। এইসব অপরিপক্ব ছেলেগুলোর যত না দোষ, তার চাইতে বেশি দোষ তাদের বাবা-মার। তারা সন্তানের জেদের কাছে হেরে যেয়ে বিলাসিতার জন্য বাইক/গাড়ি কিনে দেয়। কিন্তু তারা এটা ভাবেন না যে তাদের এই হার কারো জীবন হারানোর কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসব ঘটনায় যদি আপনি ক্ষমতাবান হোন তাহলে বিচার পাবেন। নয়তো, পত্রিকার এক কোণায় ছোট্ট সংবাদ হওয়া ছাড়া আর কিছুই পাবেন না।
পরিশেষে একটাই কথা-
ভাল থাকুন সবাই, সাবধানে থাকুন।
বিঃদ্রঃ লেখকের অনুমতি ব্যতিত এই পোস্ট কপি পেস্ট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।