অস্বাভাবিকভাবে ফ্রান্সের মানুষদের জন্য সবার অনেক দরদ বেড়ে গেছে। এটা খারাপ না, বরং প্রশংসনীয় ব্যাপার। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিবাদ ও আক্রান্তদের জন্য সহমর্মিতার এমন উদাহরণ আগে কখনই দেখা যায় নি। সত্যি বলতে আমারও প্রো পিকে পতাকা লাগানোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু না লাগানোর বড় কারন আফগানিস্তান, সিরিয়া বা ইরাকের প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী হামলার জন্য যদি প্রো পিক রঙ করার ব্যবস্থা থাকতো, তাহলে আজ ফ্রান্সের জন্যও প্রোফাইল রঙ করতাম।
অপ্রিয় হলেও সত্য আজ যদি মার্ক জুকারবার্গ সাপোর্ট ফ্রান্স (ফ্রান্সের পতাকা লাগানো) চালু না করতো তাহলে এদের অধিকাংশই এই হামলার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতো না। কিন্তু তখন যদি আমাদেরই কেউ এই হামলা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিতো, তাহলে আজ প্রোফাইল রাঙানো অধিকাংশ মানুষের বিভিন্ন কটূক্তি আর হাজারটা প্রশ্ন আমাদের জর্জরিত করতো। যারাই আজ প্রোফাইল রঙ করছে এদের অধিকাংশই আসলে ফ্রান্সকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য নয়, বরং এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে প্রো পিক রাঙাচ্ছে। যেমনটা রাঙিয়েছিল সেলিব্রেট প্রাইডে (সমকামীতা স্বীকৃতির সময় রংধনু পিকে), ডিজিটাল ইন্ডিয়া ঘোষণায় (ইন্ডিয়ান পতাকায়) অথবা নেপাল ভূমিকম্পের সময় সেফটি চেক ব্যবহার করে।যারাই আজ প্রোফাইল রঙ করছে এদের অধিকাংশই আসলে ফ্রান্সকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য নয়, বরং এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে প্রো পিক রাঙাচ্ছে। যেমনটা রাঙিয়েছিল সেলিব্রেট প্রাইডে (সমকামীতা স্বীকৃতির সময় রংধনু পিকে), ডিজিটাল ইন্ডিয়া ঘোষণায় (ইন্ডিয়ান পতাকায়) অথবা নেপাল ভূমিকম্পের সময় সেফটি চেক ব্যবহার করে।
আসুন আমরা ফেসবুকের ট্রেন্ডে গা না ভাসিয়ে প্রতিটি সন্ত্রাসী হামলার জন্য প্রতিবাদ করি। দেশ, জাত, পাত্রে ভেদাভেদ না করে সবসময়ই আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াই।
সন্ত্রাসবাদ ঘুচে যাক, বিশ্ব শান্তি ফিরে পাক।
বিঃদ্রঃ লেখকের অনুমতি ব্যতিত এই পোস্ট কপি পেস্ট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।